‘টাকা পে’ কার্ড চালু করেছে ব্র্যাক ব্যাংক

0
62

বাংলাদেশ ব্যাংকের তত্ত্বাবধানের জাতীয় কার্ড স্কিমের আওতায় ‘টাকা পে’ কার্ড চালু করেছে ব্র্যাক ব্যাংক। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১ নভেম্বর ২০২৩ আনুষ্ঠানিকভাবে এই জাতীয় কার্ড স্কিমটি উদ্বোধন করেন। গণভবনে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
‘টাকা পে’ বাংলাদেশের নিজস্ব পরিকল্পনা ও নকশায় তৈরি প্রথম পেমেন্ট স্কিম, যা ব্যাংকিং খাতে এক ঐতিহাসিক যুগের সূচনা করল। আন্তর্জাতিক পেমেন্ট স্কিমের ওপর নির্ভরতা কমাতে এবং বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয়ে, সার্বভৌম এই কার্ড বিশেষ ভূমিকা পালন করবে। স্মার্ট বাংলাদেশের পথে দেশকে এক ধাপ এগিয়ে দেবে ‘টাকা পে’ কার্ড। প্রাথমিকভাবে ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি, দ্য সিটি ব্যাংক লিমিটেড ও সোনালী ব্যাংক পিএলসি ‘টাকা পে’ কার্ড চালু করছে। তবে এদের মধ্যে ব্র্যাক ব্যাংকই শুরু থেকেই ইস্যুয়িং ও অ্যাকুয়ারিং দুই সার্ভিসই প্রদান করবে।
ব্র্যাক ব্যাংকপি এলসির ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও সেলিম আর. এফ. হোসেন, দ্য সিটি ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও মাসরুর আরেফিন, সোনালী ব্যাংকপি এলসির ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও মো. আফজাল করিম ও অন্যান্য কর্মকর্তারা ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে যোগ দেন। অনুষ্ঠানে ব্র্যাক ব্যাংকের গ্রাহক ও নারী উদ্যোক্তা নুসরাত জাহান তার ব্র্যাক ব্যাংকের হিসাবের বিপরীতে ইস্যুকৃত ‘টাকা পে’ ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে পরিবহন ডটকম থেকে একটি বাসের টিকেট ক্রয় করেন। এই লেনদেনের পুরো প্রক্রিয়া প্রধানমন্ত্রীসহ উপস্থিত সবাই পর্যবেক্ষণ করেন।
প্রাথমিকভাবে দেশের অভ্যন্তরীণ লেনদেনের জন্য কার্ড ব্যবহার করা যাবে। এটিএম থেকে টাকা উত্তোলন, পিওএস মেশিন ও ই-কমার্স লেনদেনে এই কার্ডটি ব্যবহার করা যাবে। বাংলাদেশ ব্যাংক পরিচালিত ন্যাশনাল পেমেন্ট সুইচের মাধ্যমে এই কার্ডের লেনদেন হবে। তাই এই কার্ডে লেনদেন হবে নিরাপদ, সুরক্ষিত ও নির্ভরযোগ্য। আর গ্রাহকদের জন্য এটি হবে সাশ্রয়ী, স্বাচ্ছন্দ্যময় ও সহজে ব্যবহারযোগ্য। ‘টাকা পে’ কার্ড চালু উপলক্ষে ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসির ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও সেলিম আর. এফ. হোসেন বলেন, প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের নিজস্ব জাতীয় কার্ড স্কিমের আওতায় ‘টাকা পে’ কার্ড চালু করতে পেরে পুরো জাতির সঙ্গ আমরাও গর্বিত। এর ফলে এ দেশের ব্যাংকিং খাত প্রযুক্তির দিক থেকে আরও সমৃদ্ধ ও স্বনির্ভর হবে। লেনদেনে গ্রাহকদের খরচ বাঁচবে। আমরা মনে করি, এটি বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতের জন্য একটি বড় মাইলফলক, যা এ খাতকে এক ধাপ এগিয়ে দেবে। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে সাহায্য করবে।