ডিসিসিআইতে বাংলাদেশের অর্থনীতির দ্বিবার্ষিক পর্যালোচনা সেমিনার

0
52

নিরবিচ্ছিন্নভাবে পণ্য উৎপাদনের মাধ্যমে রপ্তানি অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে বিশেষ করে শিল্পাঞ্চলে আইনশৃঙ্খলা জোরাদারের পাশপাশি উদ্যোক্তাদের আস্থা ফিরিয়ে আনার ওপর জোরারোপ করেন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) সভাপতি আশারাফ আহমেদ। ২৮ সেপ্টেম্বর ডিসিসিআই আয়োজিত বাংলাদেশের অর্থনীতির দ্বিবার্ষিক পর্যালোচনা (জানুয়ারি-জুন, অর্থবছর ২০২৪); প্রেক্ষিত বেসরকারি খাত শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ অভিমত জ্ঞাপন করেন।
ডিসিসিআই সভাপতি আশরাফ আহমেদ ওই সেমিনারে ২০২৪ অর্থবছরের জানুয়ারি-জুন সময়কালে অর্থনীতির সার্বিক প্রেক্ষাপটের ওপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। মূল প্রবন্ধে তিনি বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বৈশি^ক ভূ-অর্থনীতির প্রভাব, বাজেট ও মুদ্রানীতির বাস্তবায়ন অবস্থা, মূল্যস্ফীতি, বেসরকারি বিনিয়োগ, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য, কৃষি ও কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ, তৈরি পোশাক, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, ওষুধ শিল্প, সিএমএসএমই, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, এলডিসি উত্তরণ পরবর্তী চ্যালেঞ্জ এবং আর্থিক খাত নিয়ে বিস্তারিত আলোকপাত করেন।
তিনি বলেন, বিদ্যমান পরিস্থিতি মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্তৃক গৃহীত উচ্চ সুদহার এবং মুদ্রা বিনিময় নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ নিয়েছে, তবে দেশে মূল্যস্ফীতি কমে যাওয়ার পরিস্থিতি বিবেচনায় এ সিদ্ধান্ত পুনঃবিবেচনা করা প্রয়োজন বলে তিনি মতপ্রকাশ করেন। ডিসিসিআই সভাপতি আরও বলেন, আমাদের শিল্প-কারখানায় প্রয়োজনীয় জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিতের মাধ্যমে পণ্য উৎপাদন বাড়িয়ে রপ্তানি অব্যাহত রাখতে হবে। তিনি আশা করেন, বেলেন্স অব পেমেন্টের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট জটিলতা অচিরেই নিরসন হবে এবং মার্কিন ডলারের সুদ হার হ্রাসের ফলে বাংলাদেশি টাকার মান বৃদ্ধি পাবে। সেই সঙ্গে বিনিয়োগ বৃদ্ধির পাশাপাশি ব্যবসা সহায়ক পরিবেশ উন্নয়নে মধ্যমেয়াদি নীতিমালা গ্রহণ এবং ব্যবসা-বাণিজ্য সংশ্লিষ্ট সরকারি বিভিন্ন সংস্থাগুলোর কার্যপরিধি সংস্কার করা আবশ্যক বলে মনে করেন ঢাকা চেম্বার সভাপতি। তিনি বলেন, আমরা দেখতে পারছি দেশের ব্যাংক খাতের কিছু ব্যাংক, যার সংখ্যা ১০ হতে পারে, মন্দ ঋণের সমস্যায় মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত, তবে অন্যান্য ব্যাংকহুলোর অবস্থা বেশ ভলো। মন্দ ঋণে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যাংকগুলোর আমানতকারী এবং ঋণ গ্রহীতারা যেন অপেক্ষাকৃত ভালো ব্যাংকে ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনার সুযোগ পান তা নিশ্চিতকরণে ব্যাংক খাতে কার্যকর স্থিতিশীলতা অপরিহার্য বলে তিনি অভিমত জ্ঞাপন করেন।
বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের (বিআইডিএস) সাবেক মহাপরিচালক ড. খান আহমেদ সৈয়দ মুরশিদ, ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের ডেভেপলমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ও র‌্যাপিডর নির্বাহী পরিচালক ড. আবু ইউসুফ এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক (গবেষণা) ড. মো: সেলিম আল মামুন ওই সেমিনারের নির্ধারিত আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।