ডায়াবেটিকদের সকালের নাশতা হোক স্বাস্থ্যকর

0
55

সদ্য ডায়াবেটিস ধরা পড়েছে? তার মানেই মিষ্টির সঙ্গে সঙ্গে আপনাকে অনেক খাবার বাদ দিতে হবে। ডায়াবেটিকদের জন্য মিষ্টি হলো বিষের সমান। রসগোল্লা, সন্দেশ বাদ দিয়েও যে খাবারগুলো আলাদা করে চিনি মেশানো থাকে, সেগুলোও খাওয়া যায় না। ফলে ডায়াবেটিকরা বুঝতে পারেন না কি খাবেন আর খাবেন না।
দুপুর আর রাতের খাবারে মাছ, মাংস, শাকসবজি রাখলেই হবে। কিন্তু সবচেয়ে মুশকিল হয় সকালের নাশতা নিয়ে। সকালের নাশতায় খাওয়া যায় অনেক খাবার ডায়াবেটিকরা খেতে পারেন না। তবে ডায়াবেটিস থাকলে সকালের নাশতায় যা রাখতে পারেন-অনেকেই সকালে দুধ আর কর্নফ্লেক্স খান, ডায়াবেটিক রোগীদের এটি না খাওয়াই ভালো। কর্নফ্লেক্সের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স অনেকটাই বেশি। তার চেয়ে বরং দুটো হাতে গড়া রুটি কিংবা ব্রাউন ব্রেড খেতে পারেন। ময়দা বা আটার রুটির বদলে বাজরার রুটি খেতে পারেন। এতে ফাইবারও পাবেন বেশি।
ডিমের সাদা অংশ দিয়ে অমলেটও তৈরি করা যায়। তার মধ্যে একটু পালং শাক কুচিয়ে দিয়ে দিন, স্বাদ বাড়বে। সঙ্গে একটি ব্রাউন ব্রেড টোস্ট আর শসার কয়েকটি টুকরো। এতে পেট অনেকক্ষণ ভরা থাকবে।
সকালে একটু ছাতু খেতে পারেন, পেট অনেকক্ষণ ভরা থাকবে। ডায়বেটিক রোগীদের জন্য খুব ভালো টিফিন হল স্প্রাউট সালাদ।
ছোলা ভিজে কাপড়ে মুড়ে রেখে দিন। অঙ্কুরোদ্গম হলে পরের দিন শশা, পেঁয়াজ, টমেটো, লেবু ও কাঁচা মরিচ কুচি ছড়িয়ে খান।
পুষ্টিবিদদের মতে, সুজি, ডালিয়া, ওটস জাতীয় খাবার ডায়াবেটিস থাকলে খাওয়া যেতে পারে। ডালিয়া দিয়ে খিচুড়ি, ডালিয়ার রুটি খাওয়া যায়। ওটস পরিজ, ওটসের প্যানকেক, সুজির দোসা বা উপমা খেতে পারেন।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে কয়েকটি টিপসÑ
* স্বাস্থ্যকর খাদ্য নির্বাচন করুন। অর্থাৎ চিনি, গুড়, মধু, মিষ্টি, কোল্ডড্রিংকসের মতো সরল কার্বোহাইড্রেট নয়, বরং খান ফাইবার সমৃদ্ধ গমের তৈরি খাদ্য। ভাতের জন্য বাছুন ব্রাউন রাইস বা ঢেঁকি ছাঁটা চাল। এ ছাড়া প্রোটিনের জন্য পাতে রাখুন ডাল, দই, মাছ, চিকেন। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন ও ফাইবারের জন্য খান ফল ও শাকসব্জি।
* লবণ খাওয়ার পরিমাণ কমান। পাতে লবণ নেবেন না। তাতে ব্লাডপ্রেশার বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।
* ডায়েটে উপকারী ফ্যাটের মাত্রা বাড়ান। খান অলিভ অয়েল, লবণ ছাড়া বাদাম, অয়েলি ফিশ।
* বিকালের টিফিনের জন্য পুষ্টিকর খাদ্যাভ্যাস জরুরি। খেতে পারেন ইয়োগার্ট, অঙ্কুরিত মুগ, ছোলা। খাওয়া যায় সেদ্ধ ভুট্টা ইত্যাদি।
* প্রতিদিন এক্সারসাইজ করুন অন্তত ৪০ মিনিট। কিছু না পারলে হন হন করে হাঁটুন। সুস্থ থাকুন।