ছোট উদ্যোগে মানব সক্ষমতার বিকাশের লক্ষ্যে পিকেএসএফ ও বিশ্বব্যাংকের যৌথ অর্থায়নেজ রেইস প্রকল্প ফেব্রুয়ারি ২০২২-এ যাত্রা শুরু করে। প্রকল্পটি ৭০টি সহযোগী সংস্থার মাধ্যমে দেশের ৬৪টি জেলার ৩৩৩টি উপজেলার শহর ও উপশহর এলাকায় বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। পাঁচ বছর মেয়াদি এ প্রকল্পের আওতায় ১ লাখ ৭৫ হাজার তরুণ ও ছোট উদ্যোক্তার সক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থায়ন করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, তরুণদের শোভন ও মর্যাদাপূর্ণ কর্মসংস্থানে যুক্ত হওয়ার সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে রেইস প্রকল্প সরকারের প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ২০২১-২০৪১ ও টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
পল্লীকর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) কর্তৃক আয়োজিত বাংলাদেশে ছোট উদ্যোগের ক্রমবিকাশ : প্রেক্ষিত রেইস প্রকল্প শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় সম্প্রতি পিকেএসএফ ভবনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন পিকেএসএফের চেয়ারম্যান, বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ এবং এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন পিকেএসএফের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ড. নমিতা হালদার এনডিসি। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর সুলেইমানি কাউলিবেলি। তিনি ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বের দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির মধ্যে অন্যতম। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে দেশটি ২০৪১ সালের মধ্যে উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার জন্য সঠিক পথে রয়েছে, কারণ বাংলাদেশ করোনা মহামারি সত্ত্বেও এর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বজায় রেখেছে।
ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ বলেন, বাংলাদেশ জনমিতিক সুযোগ গ্রহণ করতে হলে ক্ষুদ্র উদ্যোগে বিনিয়োগ করা জরুরি। ক্ষুদ্র উদ্যোগের বিকাশে আর্থিক পরিষেবার পাশাপাশি অ-আর্থিক পরিষেবা যেমন সক্ষমতা বৃদ্ধিমূলক কর্মকাণ্ড বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয় তা রয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
পিকেএসএফ পশ্চাৎপদ জনগোষ্ঠীর ভাগ্যোন্নয়নে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে উল্লেখ করে ড. নমিতা হালদার বলেন, রেইস প্রকল্পটি পিছিয়ে পড়া মানুষের, বিশেষ করে তরুণদের সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে তাদের সার্বিক জীবনমান উন্নয়নে কাজ করছে।
সভায় বাংলাদেশে ছোট উদ্যোগের বিকাশ : সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ বিষয়ক উপস্থাপনায় পিকেএসএফের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. ফজলুল কাদের দেশীয় ছোট উদ্যোগের বিকাশে পিকেএসএফের বিভিন্ন কার্যক্রম ও প্রকল্পের ভূমিকা তুলে ধরেন। এ ছাড়া রেইস প্রকল্পের বিভিন্ন দিক নিয়ে উপস্থাপনা প্রদান করেন রেইস প্রকল্পের সমন্বয়কারী দিলীপ কুমার চক্রবর্তী।
উপস্থাপনাসমূহের ওপর আলোচনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক এমএ বাকী খলীলী। অনুষ্ঠানে তৃণমূল পর্যায়ের রেইস প্রকল্পের কয়েকজন অংশগ্রহণকারী তাদের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন। এ ছাড়া এ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন পিকেএসএফ ও এর সহযোগী সংস্থাসমূহের কর্মকর্তা এবং বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধিরা।